এক-একটি আমগাছের উচ্চতা মাত্র তিন ফুটের মতো। তাতে ঝুলছে থোকা থোকা আম। কোনোটা সোনালি, কোনোটা সিঁধুর রাঙা, আবার কোনোটার গা জুড়ে হলদে আভা।
আকারেও নানা বাহার- চ্যাপ্টা গোলাকার, লম্বাটের ভিড়ে আছে রঙিন বেলুনের মতো আম। লম্বাটে আকারের কারণে একটি আমের নামই তো ‘ব্যানানা ম্যাংগো’।
এমনই কিছু প্রজাতির আমগাছ পাওয়া যাচ্ছে বুধবার শুরু হওয়া এবারের জাতীয় বৃক্ষমেলায়।
‘সবুজে বাঁচি, সবুজ বাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৮ বসেছে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশের মাঠে। মাসব্যাপী এই মেলা চলবে আগামী ১৮ আগস্ট পর্যন্ত।
ফলদ, বনজ, ঔষধিসহ নানা ধরনের গাছের সমারোহ ঘটেছে মেলায়। দেশীয় শত শত প্রজাতির পাশাপাশি আছে বিদেশি গাছও। মেলার প্রথম দিনই দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কেড়েছে থাইল্যান্ডের আমগাছ।
বিক্রেতারা জানান, এবারের মেলার বাড়তি আকর্ষণ থাইল্যান্ডের এসব আমগাছ। পালমা, কিউজাই, মহাচর্মা, সূর্য ডিম, তুতা বরি, বারি ৪, ব্যানানা ম্যাংগোসহ প্রায় ১০ প্রজাতির থাই আমগাছ পাওয়া যাচ্ছে মেলায়।
দেশীয় আমগাছের তুলনায় দ্রুত বর্ধনশীল ও দ্রুত ফলন দিতে সক্ষম এসব আমগাছের চাহিদাও বেশ ভালো বলে জানান বিক্রেতারা।
বিক্রেতা মিলন বলেন, ‘আমাদের নার্সারিতে সারা বছর বেশি বিক্রি হওয়া গাছের মধ্যে এই আম একটা। এই গাছে কম সময়ে ফল ধরে। দেশি আমগাছ তো অনেক বড় হয়, সব জায়গায় লাগানো যায় না। থাই আমগাছ বাসার ছাদেও লাগানো যায়।’
মেলার বেশ কিছু স্টলে বিক্রি হচ্ছে এসব আমের চারা। আশুলিয়া গার্ডেন সেন্টারের বিক্রেতা সনি আহমেদ দাবি করেন, দেশীয় জাতের আমগাছের চেয়ে থাই আমের স্বাদ বেশি।
সনি আহমেদ বলেন, ‘দেশীয় আমগাছে এক বছর আম ধরলে পরের বছর আম ধরে না। এই গাছে প্রতি বছর আম ধরবে। ফলন দেশীয় জাতের চেয়ে বেশি।’
বিক্রেতারা দেশীয় আমের চেয়ে তুলনায় নানা দিক থেকে থাই আমকে এগিয়ে রাখছেন, তেমনি এসব গাছের চারার দামও বেশি। জাত ও আকারভেদে ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে মিলবে এই আমের চারা।